জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা-ইউনেস্কো ইউক্রেনের পক্ষ নিচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এ দাবি করেন। তিনি লিখেছেন, ডিসেম্বরে যখন ইউক্রেন ওডেসার বিখ্যাত ‘ক্যাথারিন দ্য গ্রেট’ ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়, তখন ইউনেস্কো নীরব ছিল।
ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ইউক্রেনের প্রতিষ্ঠাতা ‘ক্যাথারিন দ্য গ্রেট’। এক সময় বৃহত্তর রাশিয়ার রানি ছিলেন তিনি। তাই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্ববহ এ ভাস্কর্যটি শুধু ইউক্রেনেরই নয়, রাশিয়ার সংস্কৃতিরও অংশ।
এর আগে টুইটারে এক পোস্টে জাখারোভা বলেন, রাশিয়ার অসংখ্য চার্চ ধ্বংস করে, ন্যায়বিচার চাওয়ার অধিকার কিয়েভের নেই।
প্রসঙ্গত, রোববার ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। এতে বেশ কিছু বেসামরিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের একটি বিখ্যাত গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ হামলার পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, রুশ হামলায় শুধু মানুষ-ই মারা যায় না, ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা ও গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কুলেবা আরও লিখেছেন- ইউক্রেনের সংস্কৃতি, মতাদর্শ ও ধর্ম ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। এজন্য অর্থোডক্স গির্জায়কেও হামলার টার্গেট করেছে দেশটি। এমন নির্মম হামলা কেন হলো, তার কারণ জানতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক ডাকারও আহ্বান করেছেন কুলেবা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।